নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় রায় কলকাতা হাইকোর্টের। সোমবার এসএসসির গ্ৰুপ সি, গ্ৰুপ ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির প্রায় ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট।
বাংলা এখনও পর্যন্ত যেকটি বড় দুর্নীতির সাক্ষী থেকেছে , তার মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি অন্যতম।বিগত তিন বছরে বাংলার রাজনীতিতে অন্যতম চর্চিত বিষয় ছিল শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগের দুর্নীতি। টেট এবং এসএসসি - উভয় ক্ষেত্রেই দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। টেট মামলা আপাতত সুপ্রিকোর্টে বিচারাধীন। সোমবার , এসএসসির ক্ষেত্রেও যুগান্তকারী রায়দান করল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।
একনজরে > কী বললো কলকাতা হাইকোর্ট
- এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা কলকাতা হাইকোর্টের
- রায়দান বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের
- ২৮১ পৃষ্ঠার রায় আদালতে পড়ে শোনান বিচারপতি দেবাংশু বসাক
- পুরো নিয়োগ পক্রিয়া দুর্নীতিগ্রস্থ
- বাতিল ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া
- চাকরি হারালেন প্রায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জন
- চাকরি থাকছে কেবল সোমা দাসের। ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ায় মানবিক কারণেই তাঁর চাকরি বহালের নির্দেশ আদালতের
- এসএসসির প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণর পর যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের ১২ শতাংশ সুদে বেতন ফেরতের নির্দেশ আদালতের
- চার সপ্তাহের মধ্যে ফেরত দিতে হবে বেতন
- এসএসসির ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র সর্বসাধরণের উদ্দেশ্যে এসএসসির সার্ভারে আপলোড করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
- এসএসসি দুর্নীতি মামলায় জারি থাকবে সিবিআই তদন্ত
এসএসসি মামলায় প্রথম চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তণ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । পরে তাঁর রায়কে চ্যালেঞ্জে করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় শাসক শিবির। সেখান থেকে মামলাগুলি ফের হাইকোর্টে ফেরত পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে মে মাসের মধ্যে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চকে এই মামলার নিষ্পত্তি করবার নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এর সাড়ে তিন মাসের মাথায় শুনানি শেষ হয়ে যাওয়ায় সোমবারই রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট।
0 Comments